মোঃ সানাউল্লাহ রিয়াদ, বরগুনা :: সড়কে দিন দিন বাড়ছে বেপরোয়া গাড়ির গতি। ফলে গড়গড় করে বাড়ছে সড়ক দুর্ঘটনার সংখ্যা। এ সংখ্যা কেবল দুর্ঘটনায় গাড়িই নয় বরং অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে বাড়ছে মানুষের মৃত্যুও।
এ সকল ঘটনার পেছনে রয়েছে পরিবহন মালিকদের উদাসীনতা। প্রথম পর্যায়ে সকল গাড়ির রেজিস্ট্রেশন করলেও পরবর্তীতে রেজিস্ট্রেশনের মেয়াদ কিংবা ট্যাক্স টোকেন এর মেয়াদ না থাকাটা ইচ্ছাকৃত ও খামখেয়ালি ছাড়া আর কিছুই না। এ যেন মনের সুখে স্বাধীন চিত্তে অবৈধভাবে সড়ক দাপিয়ে বেড়ানোর এক দুঃসাহসের পরিচয় দেয়া।
অনেকে আবার আইনের তোয়াক্কা না করেই ড্রাইভিং লাইসেন্স, সিটবেল্ট ও হেলমেট পরিধান ছাড়াই দেশের প্রচলিত আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সড়ক ও মহাসড়ক।
এ সকল নিয়ম-কানুনের বিষয় নিত্য নৈমিত্তিক হাওয়ায় এবং সড়ক পরিবহন আইনের ব্যত্যয় ঘটানোর বিষয়টি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)-এর নজরে আসলে চলতি বছরের গত ১৩ জুলাই বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) সদর কার্যালয়ের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত সচিব) আবু মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ স্বাক্ষরিত একটি অভিযান পরিচালনা সংক্রান্ত চিঠি করেন।
এতে সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ধারা ৩৬ এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার বাস মিনিবাসের ক্ষেত্রে ২০ বছর এবং ট্রাক কাভার্ডভ্যান প্রভৃতি মালবাহী মোটরযানের ক্ষেত্রে ২৫ বছর ইকোনমিক লাইফ নির্ধারণ করেছে।
সরকারের এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উল্লেখিত ইকোনমিক লাইফ মেয়াদ উত্তীর্ণ বাস, মিনিবাস, ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও প্রভৃতি মালবাহী মোটরযানের বিরুদ্ধে বিআরটিএ জেলা প্রশাসন, পুলিশ বিভাগ, মালিক সমিতি ও শ্রমিক সংগঠনের সমন্বয়ে সারাদেশে রোববার (২০ জুলাই) একযোগে অভিযান পরিচালনার জন্য অনুরোধ করা হয়।
সে অনুযায়ী সারাদেশের ন্যায় বরগুনা জেলা প্রশাসন, বিআরটিএ ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বয়ে রোববার (২০ জুলাই) বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত সদর উপজেলার মহাসড়ক সোনার বাংলা এলাকায় বিশেষ এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ অভিযানের বিজ্ঞ হাকিম হিসেবে নেতৃত্ব দেন- বরগুনা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সাইফুল ইসলাম।
এ সময় বিআরটিএ-এর বরগুনার সহকারী পরিচালক (ইঞ্জিঃ অঃ দাঃ) মোঃ হাবিবুর রহমান, বরগুনা সদর ট্রাফিক বিভাগের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) সোয়াইব ও বরগুনা সদর থানায় কর্মরত এএসআই রবিউল সহ পুলিশের সঙ্গীও ফোর্স বিশেষে এ অভিযানের সহযোগিতা করেন।
বিশেষ এ অভিযানে সাতটি মামলায় মোট ১১হাজার ৫শত টাকা জরিমানা করা হয়। একই সাথে পরবর্তীতে নিজেদের সংশোধন করে সড়কের আইন মেনে চলার পরামর্শ দেন এ বিশেষ অভিযানের বিজ্ঞ হাকিম।
অভিযান পরিচালনাকালে বিজ্ঞ হাকিমের নির্দেশনায় যাত্রীবাহী বাসের হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।